আদালতে যাওয়ার পথে আসামিদের হামলায় সাক্ষী নিহত

বগুড়ার ধুনটে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে আসামিদের মারধরে আবদুল খালেক (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কোদলাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা যান।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, নিহত আবদুল খালেক বগুড়ার ধুনটের কালেরপাড়া ইউনিয়নের কোদলাপাড়া গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে। আবদুল খালেকের ভাই আবদুস সাত্তার সম্প্রতি কোদলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে এক মণ চাল কেনেন। কিন্তু সময়মতো
টাকা না দেওয়ায় গত ৩ নভেম্বর তার সঙ্গে কোষাধ্যক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় আবদুস সাত্তার বগুড়ার আদালতে কোষাধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক, তার ছেলে ফজলুল হকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। নিহত আবদুল খালেক ওই মামলার সাক্ষী ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে মামলার বাদী আবদুস সাত্তার বড় ভাই সাক্ষী আবদুল খালেক নিয়ে বাড়ি থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে ওই মামলার আসামিদের বাড়ির কাছে পৌঁছালে প্রধান আসামি ফজলুল হক ও তার লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এতে আবদুল খালেক ও আবদুস সাত্তার আহত হন। পরে আবদুল খালেককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে আবদুল খালেকের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হামলায় জড়িত পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। সন্ধ্যায় এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।