‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটাই অসাংবিধানিক’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য বিএনপি অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক দাবিগুলো সামনে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, ‌‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটাই হলো অসাংবিধানিক এবং অপরাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতায়ন করার। সেই ক্ষমতার সঙ্গে তাদের ভাগ-বাটোয়ারার প্রশ্ন আছে। কোনোদিনও বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেনি। ১৯৯১ সালেও তারা কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। ২০০১ সালে গ্যাস দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে আবার ক্ষমতায় এসেছিল।’

আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি মানুষের ভোটে নির্বাচিত হবে না। তাই নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য তারা এ ধরনের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক দাবি সামনে নিয়ে আসে। তাদের এই দাবিকে এদেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না, আমলে নিচ্ছে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’

এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলতে এবং সত্যকে আড়াল করতেই বিএনপির জন্ম হয়েছে। তারা দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। সেইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বিলীন করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিএনপি।’

প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী আগমন উপলক্ষে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার করছে এবং অসত্য তথ্য দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি আমাদের কাছে কোনও বিষয় না। আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপির লোকেরাও এই জনসভায় উপস্থিত হবে।’

তাদের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম, আখতার জাহান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আবিদা আনজুম মিতা, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মাদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রমুখ।