‘পথ ভুলে’ আসা রাশিয়ান নাগরিককে বগুড়া থেকে উদ্ধার

বগুড়ার সোনাতলায় ‘পথ ভুলে’ আসা পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাশিয়ান শ্রমিক আলেকসিভিচকে (৩০) উদ্ধার করা হয়েছে। সোনাতলা থানার টহল পুলিশ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) গভীর রাতে তাকে উপজেলার তেকানীচুকাইনগর এলাকায় যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে হাঁটার সময় আটক করে।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে রূপপুর থেকে আসা কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, তার কাছে কিছু ডলার, চেক ও কাপড়চোপড় ছিল। যেকোনও সময় তিনি দুর্বৃত্তদের খপ্পরে পড়তে পারতেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে এক ব্যক্তি সোনাতলা উপজেলার তেকানীচুকাইনগর এলাকায় যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে হেঁটে পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার দিকে যাচ্ছিলেন। টহল পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তার কাছে ব্যাগে থাকা ১০০ ডলারের চারটি নোট, রাশিয়ান পাসপোর্ট, ভিসা, একটি মোবাইল ফোন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শাখার একটি ব্যাংকের চেক ও কাপড়চোপড় ছিল।

ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি রাশিয়ান নাগরিক। তার নাম আলেকসিভিচ। পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিক। গত ৫ নভেম্বর তার কাজের পারমিট শেষ হয়ে গেছে। ১৫ নভেম্বর তার দেশে ফেরার কথা। এ কয়েক দিন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ভ্রমণের চিন্তাভাবনা করেন। গত কয়েক দিনে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেছেন।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া শহরে পৌঁছান। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সোনাতলা উপজেলার তেকানীচুকাইনগর এলাকায় আসেন। এরপর তিনি যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে হেঁটে গাইবান্ধার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় টহল পুলিশ তাকে দেখতে পেয়ে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, সম্ভবত রাশিয়ান ওই নাগরিক পথ ভুলে উপজেলার তেকানীচুকাইনগর এলাকায় চলে আসেন। গভীর রাতে বাঁধের ওপর দিয়ে হেঁটে পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধার দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশের নজরে না এলে তার বিপদে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তার পরিচয় জানার পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে কয়েকজন রাশিয়ান কর্মকর্তারা সোনাতলা থানায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে তাকে ওইসব কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।