বগুড়ার ধুনটে জমি বিক্রি না করায় মন্দির ও বাড়ি ভাঙচুর, গ্রেফতার ৩

বগুড়ার ধুনটে জমি বিক্রি না করায় মন্দির ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় গৃহবধু চায়না রানী ও তার ছেলে লিটন চন্দ্র দাস আহত হয়েছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তিন হামলাকারীকে আটক করেছে।

গত বুধবার উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ছাতিয়ানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

চায়না রানীর স্বামী গ্রাম পুলিশ বিনয় চন্দ্র দাস বৃহস্পতিবার সকালে ধুনট থানায় আটক তিনজনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

পুলিশ ও অভিযোগে জানা গেছে, প্রায় আট বছর আগে গ্রাম পুলিশ বিনয় চন্দ্র দাসের স্ত্রী চায়না রানী ১০ শতক ও ভাসুর গোকুল চন্দ্র দাস ১৫ শতক জমি বিক্রি করেন। প্রতিবেশি আবু সিদ্দিক জমিগুলো ক্রয় করেন। অবশিষ্ট ছয় শতক জমিতে চায়না রানী বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস ও পাশেই লক্ষ্মী মন্দির স্থাপন করেন। পরবর্তীতে আবু সিদ্দিক ওই ছয় শতক জমি কম দামে বিক্রি করতে চায়না রানীকে প্রস্তাব দেন। তারা বসতবাড়ি ও মন্দিরসহ ছয় শতক জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় আবু সিদ্দিক ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে আবু সিদ্দিক, তার ছেলে আবু তালেব ও ভাতিজা শাহীদুল এবং আবদুর রহিমসহ ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়ে চায়না রানীর বাড়িঘর, লক্ষ্মী মন্দিরসহ গোপাল ঠাকুরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। মারপিটে চায়না রানী ও ছেলে লিটন চন্দ্র দাস আহত হন। তাদের ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে আবু সিদ্দিক, ছেলে আবু তালেব ও বারিক নামে একজনকে আটক করে। এ

ব্যাপারে চায়নার স্বামী গ্রাম পুলিশ বিনয় চন্দ্র দাস বৃহস্পতিবার সকালে আটক তিনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

ধুনট থানার এসআই জাহাঙ্গীর জানান, আটক তিন জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।