২ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

দুই কোটি টাকা মূল্যের বেশি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে রাজশাহীতে সাবেক এক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামির নাম ফরিদুল ইসলাম খান (৬৩)। সর্বশেষ তিনি রাজশাহীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে রাজশাহী মহানগরীর বড়কুঠিপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরের সুবর্ণগাতি এলাকায়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ায় ফরিদুল ইসলাম খানকে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছিল। ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৭০০ টাকার স্থাবর সম্পদের বিবরণ দেন। সম্পদ বিবরণীতে কোনও অস্থাবর সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেননি। এরপর দুদক অনুসন্ধানে নেমে তার নামে ২৮ লাখ ৯১ হাজার ৬১৯ টাকার স্থাবর সম্পদ ও এক কোটি ৯৯ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৮ টাকার অস্থাবর সম্পদের সন্ধান পায়। এতে তার নামে দুই কোটি ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৭ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি দুই কোটি ১৪ লাখ ২৩ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

মামলার বিবরণে দুদক উল্লেখ করেছে, ফরিদুল ইসলাম দেনা বা ঋণ দেখিয়েছিলেন ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকার। কিন্তু যাচাইয়ে তার নামে ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭৫ টাকার দেনা পাওয়া গেছে। আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পদের তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

এ ব্যাপারে ফরিদুল ইসলাম খান জানান, তিনি কোনও সম্পদের তথ্য গোপন করেননি। দুদক যে সম্পদ দেখিয়েছে তা তার শ্বশুরবাড়ির। ওই সম্পদও পৈতৃকসূত্রে পাওয়া।