তীব্র গরমে পানি চাইতে চাইতেই ট্রাফিক পুলিশের মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দরে তীব্র গরমে ডিউটিরত অবস্থায় ‘হিট স্ট্রোকে’ রুহুল আমিন (৪২) নামে এক ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডে দায়িত্ব পালন অবস্থায় তিনি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তার সহকর্মীরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ব্যক্তি বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হিসেবে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কর্মরত ছিলেন। তিনি যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল এলাকার কোরবান আলীর ছেলে।

পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার মো. টিপু সুলতান বলেন, রুহুল আমিন সকাল থেকেই বন্দরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুপুরে জিরোপয়েন্ট থেকে এসে পানি চান। পানি চাওয়া মাত্রই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

টিপু সুলতান আরও বলেন, রুহুল আমিনকে বন্দরের গাড়িতেই হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রচণ্ড গরমের কারণেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, দুপুরে স্থলবন্দরের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ইয়ার্ডে দায়িত্ব পালনের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এস এম মাহমুদুর রশিদ জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রুহুল আমিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে যারা নিয়ে এসেছিলেন তারা বলেছেন তিনি তৃষ্ণার্ত ছিলেন, পানি খেতে চেয়েছিলেন।

শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক আল-আকসা মহল জানান, মৃত অবস্থায় রুহুল আমিনকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে ইসিজি করে দেখা গেছে তিনি স্ট্রোকজনিত কারণে মারা গেছেন।