নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ি ইউনিয়নের কেচুয়াকোড়া টলটলি পাড়া এলাকায় মসজিদের বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করা নিয়ে দুই মুসল্লির মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে আট জন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে ওই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত পাঁচ জনকে বড়াইগ্রাম ও নাটোর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে একজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তথ্যমতে বৃহস্পতিবার এশার নামাজ পড়তে গিয়ে বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করা নিয়ে আফসার হোসেন (৬৫) ও জব্বার আলীর (৬০) মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও পরে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে জব্বার আলী ও তার পক্ষের ১০—১২ জন লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আফসার হোসেনের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে আহত হন সাব্বির হোসেন (১৬), খাইরুল ইসলাম (৩২), বক্কার হোসেন (৫০), মিলন হোসেন (১৮) ও ইমাম হোসেন (৫০)।
পরে আফসার হোসেনের লোকজন জব্বার আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ সময় বাধা দিতে এলে আহত হন আরও ৩/৪ জন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংশ্লিষ্ট পরিবারের বরাতে জানান, আহত হোসেন আলীর ছেলে সাব্বির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) ভর্তি করা হয়েছে। উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।