প্রধান শিক্ষককে পেটানো সেই ছাত্রের জামিন হয়নি

বগুড়ার আদমদীঘির কৈকুড়ি রহিম-মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমানকে মারধরের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্রের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। বগুড়ার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাকে যশোরের পুলেরহাটে শিশু কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া তার বাবা, মা ও ফুফু স্কুলের সহকারী শিক্ষককে জামিন দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ মে) বিকালে কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন এ তথ্য দিয়েছেন।

মামলা ও আদালত সূত্র জানিয়েছে, বগুড়ার আদমদীঘির কৈকুড়ি রহিম-মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্র ক্লাসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। শাসন করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে হুমকি দিয়ে চলে যায়। প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিয়ে সব শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখানে ওই ছাত্রের ফুফু সহকারী শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন। ওই শিক্ষক বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে জানালে ওই শিক্ষার্থী ক্ষিপ্ত হয়।

গত ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে প্রধান শিক্ষক কালাইকুড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুরে মাছের খাবার দিতে যান। এ সময় ওই ছাত্র তার মায়ের সামনে তাকে মারধর করে। স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে পরদিন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী আম্বিয়া আক্তার আদমদীঘি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এদিকে রহিম-মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমানকে হত্যার উদ্দেশে মারধরের ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থী ও অন্যদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন।

গত সোমবার আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত শুনানি শেষে শিক্ষার্থীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া তার বাবা, মা ও অন্তঃসত্ত্বা সহকারি শিক্ষিকা ফুফুর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

বগুড়া কারাগারের জেলার জানিয়েছেন, বুধবার ওই ছাত্রকে যশোরের পুলেরহাটে শিশু কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।