ঋণের চাপে ডিম বিক্রেতার ‘আত্মহত্যা’

পাবনার সাঁথিয়া বাজারে ফুটপাতে বসে সেদ্ধ ডিম বিক্রি করতেন রহম আলী (৪৫)। অল্প আয়ের সেই মানুষটি সংসার চালাতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন ঋণের ফাঁদে। একের পর এক কিস্তির চাপ আর এনজিওর চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনটাই শেষ করে দিলেন তিনি—এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৮ জুন) বিকালে পিপুলিয়া গ্রামে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রহম আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ছিলেন মৃত মতলেব হোসেনের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ডিমের ছোট্ট ব্যবসা চালাতে গিয়ে তিনি ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, টিএমএস, সমিতিসহ একাধিক এনজিও ও ব্যাংক থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সপ্তাহে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার কিস্তি দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি।

স্বজনরা জানান, প্রতিদিন সকালে হাঁড়িতে ডিম সেদ্ধ করে তা নিয়ে বসতেন বাজারের ফুটপাতে। দিনভর খেটে যা আয় হতো, তা দিয়ে চলতো সংসার, আবার সেই আয় থেকেই দিতে হতো কিস্তির টাকা। কিন্তু ডিম বিক্রির সামান্য টাকায় সবকিছু চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। কিস্তির টাকা সময়মতো না দিতে পারায় সংস্থার লোকজনের চাপ আরও বেড়ে গিয়েছিল। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন রহম। অবশেষে মৃত্যুকেই বেছে নেন তিনি।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন রহম আলী। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।