বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামে খাস বিলের জমির ধানকাটা নিয়ে বিরোধ ও ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের হামলায় লিটন মিয়া (২৬) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। ওই গ্রামের বিজয়ী ও পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ওই কর্মী শনিবার রাতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা যান।
আহতদের ক’জন হলেন মিঠু (২২), সাহেব আলী (৩৪), ঠান্ডা মিয়া (৩৫), মিনহাজুল (২৮), আছমা বেগম (২৮), তরিকুল ইসলাম (২৬), মোমেনা বেগম (২৬), আজাদ (২২), জবেদ আলী (৪৫), টুকু মিয়া (৪৫), শায়েন আলী প্রামানিক (৫৫), জয়নাল শাহ (৫০), ছমির উদ্দিন (৫০)। তাদের শজিমেক ও সোনাতলাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে সোনাতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ব্যর্থ হলে ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে বগুড়া থেকে সিনিয়র এএসপি (এ সার্কেল) সাব্বির আহম্মেদ সরফরাজের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ গ্রামে অভিযান চালালেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
সহিংসতা এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান শনিবার বেলা ১টা থেকে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত পাঠানপাড়া গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
আহতদের মধ্যে দিগদাইড় ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের জিন্নাত আলী আকন্দের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য লিটন মিয়া শনিবার রাত ১২টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে মারা যান।
সোনাতলা থানার ওসি আবদুল মোতালেব জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাপারী পক্ষের লিটন নামে একজন মারা গেছেন। আহত কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া সকাল ১০টায় ১৪৪ ধারা উঠে গেছে।
ওসি আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে তিনি দাবি করেন, এটি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নয়; বিলের জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
/বিটি/টিএন/