বগুড়ায় বিস্ফোরণ: নিহত দুই জঙ্গিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়া

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ জুয়ানপুর কুটির ভিটা গ্রামে একটি বাড়িতে গ্রেনেড বিস্ফোরণ, দুই জঙ্গি নিহত এবং গ্রেনেড ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর থানার এসআই বুলবুল নিহত দুই জঙ্গিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও নাশকতার আইনে মামলা করেছেন। এজাহারে অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

শেরপুর থানার ওসি খান মো. এরফান জানান, এজাহারে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মিজান, নিহত জঙ্গি তরিকুল ইসলাম ও নিহত অজ্ঞাত পরিচয় অন্য জঙ্গিকে আসামি করা হয়েছে। তরিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ সদরের শিয়ালকোল ইউনিয়নের জামুয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। নিহত অন্যজনের পরিচয় মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

বগুড়ায় বোমা বিস্ফোরণ

ভাড়াটিয়া মিজান তার স্ত্রী শাপলা ও এক সন্তানকে নিয়ে গত ১ এপ্রিল নওগাঁ যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে চলে যায়। ওইদিন তাদের কথিত বোনজামাই তরিকুল ইসলাম বাড়িতে ছিলেন। পরে অজ্ঞাতপরিচয় আরেকজন আসেন। রবিবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তৈরির সময় গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটলে দু’জনই গুরুতর জখম হন। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তির পর তারা মারা যায়।

পরদিন সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেররিজম ট্রান্সন্যাশনাল ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্যরা বাড়ি থেকে ২০টি তাজা গ্রেনেড, ৩০০ গ্রেনেড তৈরির কাঁচামাল ও সরঞ্জাম এবং, ৭.৬৫ ক্যালিবারের ৪টি বিদেশি পিস্তল, ৬টি ম্যাগাজিন, ৪০ রাউন্ড গুলি, একটি মোটরসাইকেল, একটি বাইসাইকেল, জনতা ব্যাংকের কয়েকটি চেক বই ও দলিলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করেন।

বগুড়ায় বিস্ফোরণস্থলে পাওয়া অস্ত্র

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে ওই ঘটনায় নিহত দুইজনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সদর থানার ডিউটি অফিসার এসআই সাঈদ জানান, দু’জনের শরীরে অধিকাংশ স্থানে স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে। এর মধ্যে তরিকুলের দুই হাতের কব্জি ও এক পায়ের সব আঙুল উড়ে গেছে। তার বুকে, পিঠে ও মাথায় আঘাত রয়েছে। অপরজনের (ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ি) বুকে, পেটে, বাম চোখ ও কপালে স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে।

/এফএস/