বীরাঙ্গনা ফুলমতির বাড়িতে এসে খোঁজ নিলেন জেলা প্রশাসক

স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বীরাঙ্গনা রাজকুমারী ফুলমতির (৭৩) বাড়িতে গিয়ে এই প্রথম কোনও জেলা প্রশাসক তার খোঁজখবর নিলেন। বুধবার বিকালে উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলনকে সঙ্গে নিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ ফুলমতির বাড়িতে আসেন।

বীরাঙ্গনা ফুলমতি উপজেলা সদরের উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ফসিরাম রবি দাসের স্ত্রী।

জেলা প্রশাসক আব্দুস সালাম ফুলমতির বাড়িতে এসে  তার শারীরিক ও পারিবারিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরে তিনি ফুলমতির হাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকার অনুদান তুলে দেন। সেই সঙ্গে তার জন্য একটি ঘর, গবাদিপশু ও খাস জমি বন্দোবস্তসহ  ছেলে মনিরাজ রবি দাসের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন।

এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রশিদ আজমী, ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি তাজুল ইসলাম রেজা, সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান পলাশ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা এটিএম মাহাবুবুল আলম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহনাজ আকতার, মুক্তিযোদ্ধা সোনাতন মহন্ত উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ৭১’এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কোনও এক রাতে স্থানীয় এক বিহারি তার সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগিদের রাজকুমারী রবিদাস ফুলমতির বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে দীর্ঘদিন পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালান।

আরও পড়ুন:

মুলাদীতে ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা

 

/এআর/