সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, প্যাকেটজাত স্যালাইন না থাকায় হাতে তৈরি খাওয়ার স্যালাইন বানিয়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের সরবারহ করা হচ্ছে। বর্তমানে জেলার ছয় উপজেলায় এ অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তর কাছাড়ীপাড়া গ্রামের রনি’র (৫) মা রতনা বেগম বলেন, সকাল থেকে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে পারি নাই। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাক্তার আপা বলছেন হাসপাতালে স্যালাইন নাই তাই সকাল থেকে খাওয়ার স্যালাইন দেওয়া হয়নি। সরকারি স্যালাইন বন্ধ হওয়ায় হাতে বানানো ( চিনি, লবন মিশ্রিত) স্যালাইন খাওয়াচ্ছি।
এ ব্যাপারে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাসিনুর রহমান বলেন, সরকারি ভাবে খাওয়ার স্যালাইন বন্ধ হওয়ায় সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে। গত চার দিন ধরে এ অবস্থা চলমান আছে। তবে হাতে বানানো খাওয়ার স্যালাইন যতেষ্ট সরবারহ করা হচ্ছে। তিনি বলেন হাতে বানানো স্যালাইন শতভাগ উপকারে আসছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ভেবসা গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক রোগীর তুলনায় শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
গতকাল ওই ওয়াডে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ জন আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনের মত।
এদিকে, খোলা বাজারের ঔষধের দোকানে এক শ্রেণির অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী সুযোগের সদ্ব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে চড়া দাম। রোগীর স্বজনরা বলছেন, বাধ্য হয়ে চড়া দামে খাওয়ার স্যালাইন কিনে খেতে হচ্ছে। যা গরীব অসহায় রোগীদের পক্ষে কিনে খাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী মো. মতিয়ার রহমান বলেন, আজ সকালে বাজার থেকে পাঁচশত প্যাকেট খাওয়ার স্যালাইন ক্রয় করে ডায়রিয়া রোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। হঠাৎ করে হাসপাতালে স্যালাইন সংকটের কারণে খোলা বাজার থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে এসব স্যালাইন। তিনি বলেন, আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, বর্তমানে জেলার ছয় উপজেলায় এ অবস্থা বিরাজ করছে। তবে সরকারি ভাবে খাওয়ার স্যালাইন সরবারহ করা হলে এ সংকট কেটে যাবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
/এইচকে/