কুড়িগ্রামে অগ্নিদগ্ধ গৃহপরিচারিকা উদ্ধার

কুড়িগ্রামকুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় রেবা খাতুন (২২) নামে এক গৃহপরিচারিকা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় হাসপাতাল পাড়ার ওয়ারেছ আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অজয় কুমার জানান, রেবা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় এবং কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে বার্ন ইউনিট না থাকায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে।  

ধারণা করা হচ্ছে, গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীর নির্যাতনের ফলে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে রেবা খাতুন। এ ঘটনার পর বাড়িতে তালা লাগিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে ওয়ারেছ আলীর ও তার পরিবারের লোকজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়ির মালিক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী মো. ওয়ারেছ আলী সকালে অফিসে যান। পরে তার স্ত্রী বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির ভেতর থেকে রেবা খাতুনের চিৎকারে পাশের বাড়ির মানুষ এসে তার গায়ে আগুন দেখতে পায়। পরে গেটের তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়।

রেবা খাতুন ২০০৫ সাল থেকে তার চাচা ওয়ারেছ আলীর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল। সে রাজারহাট উপজেলার সুলতান বাহাদুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের মেয়ে।   

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সোবহান জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছি। এখনও কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীর নির্যাতনের ফলে রেবা খাতুন আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারে।

/এমডিপি/