সোমবার দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটি (খাঁনপাড়া) গ্রামে কাদের খাঁনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একদল পুলিশ তার বাড়ির উঠানে বসে আছে। বাড়িতে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড়িতে শুধু কাদের খাঁনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও তার ভাতিজি আছেন। একই বাউন্ডারির মধ্যে তার ভাইদের অন্য ঘর থাকলেও তাতে তালা ঝুলানো রয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিয়ার রহমান জানান, কাদের খাঁনকে গ্রেফতারের পর থেকে তার বাড়িতে পুলিশি পাহারা রাখা হয়েছে। এরমধ্যে বাড়ির উঠান থেকে আরও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাড়িতে আরও অস্ত্র আছে এমন ধারণায় বাড়িতে পুলিশ পাহারা রাখা হয়েছে। বাড়িতে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ কড়া পাহারা দিচ্ছে। কাদের খাঁনের আরও একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনার দেড় মাসেরও বেশি সময় পর ২১ ফেব্রুয়ারি লিটন হত্যার মূল হোতা সন্দেহে জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আবদুল কাদের খাঁনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর কাদেরের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লিটন হত্যার দায় স্বীকার করেন আবদুল কাদের । মূলত এমপি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হতে এবং নিজে এমপি থাকা অবস্থায় লিটনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি লিটনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চার কিলারও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
/বিএল/
আরও পড়ুন:
এমপি লিটন হত্যা: কাদের খাঁনের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক গ্রেফতার