দিনাজপুরে পীর হত্যায় কুড়িগ্রামের আরেক ‘পীর’ আটক

দিনাজপুরের পীর ফরহাদ হোসেনদিনাজপুরের বোচাগঞ্জে কথিত পীরসহ দুইজনকে হত্যার ঘটনায় কুড়িগ্রাম থেকে আরেক পীরকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিনাজপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর খাদেমসহ আরও দুই জনকে আটক করা হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ফরহাদ হাসান চৌধুরীর সঙ্গে কুড়িগ্রামের পীর দাবি করা এসহাক আলীর মতবিরোধের সূত্র ধরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি গ্রাম থেকে এসহাক আলীকে আটক করা হয়েছে। এসহাক আলী ওই গ্রামের পীর আজিম উদ্দিনের ছেলে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম থেকে দিনাজপুরে নিয়ে আসা হয়েছে।

একইসঙ্গে মঙ্গলবার রাতেই দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা এলাকা থেকে কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফের খাদেম সাইদুর রহমান ও সহযোগী সমর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এদিকে পীরসহ জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত ফরহাদ হাসানের মেয়ে আতিয়া ফরহানা এ্যামি বাদি হয়ে অজ্ঞাত জনদেরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, সোমবার (১৩ মার্চ) দিনগত রাত ৮ টার দিকে বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা এলাকায় কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও তার পালিত মেয়ে রুপালী বেগম গুলি ও জবাই করে হত্যা করা হয়। পারুলের বুকে গুলির এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন ছিল। ফরহাদ হোসেনের লাশ তার শোবার ঘরের বিছানায় ও পারুলের লাশ রান্নাঘরের মেঝেতে পাওয়া যায়।

ফরহাদ হোসেন চৌধুরী এক সময় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি। দিনাজপুর শহরে তার বাড়ি থাকলেও তিনি থাকতেন বোচাগঞ্জে। হঠাৎ করে ২০০৭-০৮ সাল থেকে তিনি রাজনীতি ও ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেন। ২০১০ সালে বোচাগঞ্জে কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এরপর থেকে দরবার শরীফেই বেশি সময় কাটাতেন। এক সময় তিনি নিজেকে ‘পীর’ বলে দাবি করতে শুরু করেন।

/এফএস/ 

আরও পড়ুন- 

কী হবে হাজারীবাগের জমিতে?

বিএনপি নেতা থেকে ‘পীর’