পীরসহ জোড়া খুন: প্রধান আসামি শফিকুল ৭ দিনের রিমান্ডে

সফিকুল ইসলাম বাবুদিনাজপুরের বোচাগঞ্জে দৌলা গ্রামের কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরীসহ দুইজনকে হত্যার মামলায় আটক সন্দেহভাজন প্রধান আসামি শফিকুল ইসলাম বাবুকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে শফিকুলকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে পুলিশ শফিকুলের ১০ দিনের রিমান্ড চায়। বিচারক ৭ দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিয়ে আদেশ দেন।

দিনাজপুরের কোর্ট পরিদর্শক শহিদ সরওয়ারদী বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান,  সোমবার রাতে শফিকুলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আগের কিছু অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়ে মুখ খুললেও কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী এবং তার নারী মুরিদ রূপালী বেগমকে হত্যার প্রশ্ন কৌশলে পাশ কাটানোর চেষ্টা করেছে সে। এর আগে দরবার শরীফের খাদেম সাইদুর রহমান এবং হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পাথরডুবি গ্রামের আরেক পীর এসহাক আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পুলিশের কাছে ওই দুই জন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শফিকুল ইসলাম বাবুর সরাসরি জড়িত থাকার কথা জানান। 

সোমবার (২০ মার্চ) কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী জয়মনিরহাট এলাকা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব। পরে রাতে তাকে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সোমবার দিনগত রাত ৮টার দিকে বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা এলাকায় কথিত পীর ফরহাদ হাসান চৌধুরী ও তার পালিত মেয়ে রুপালী বেগম গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ফরহাদ হোসেন চৌধুরী দিনাজপুর পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি। তিনি ছিলেন দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পরে ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দুইদিন পরে ওই দরবার শরিফের খাদেম সাইদুর রহমান ও কুড়িগ্রামের আরেক কথিত পীর এসহাক আলীকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতে তারা ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

/এফএস/ 

আরও পড়ুন- 


বেসরকারিভাবে ২ লাখ ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি তৈরির উদ্যোগ