বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কঞ্চিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খামার বল্লরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চণ্ডিপুর এফ হক উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা য়ায়, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নারী ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। ভোট কক্ষের সামনে প্রায় শতাধিক নারী লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন ভোটাররা। এসব কেন্দ্রে পুরুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসা হাবিবা বেগম জানান, তিনি ভোট কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। এবার কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে কোনও ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি। যথেষ্ঠ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকায় ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
খামার বল্লরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসার আমিনুর রহমান জানান, এবারেই প্রথম শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়েছেন তিনি। কোনও ঝামেলা হয়নি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আহমেদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার (লাঙ্গল), জাসদের মোহাম্মদ আলী প্রামানিক (মশাল), জেপির ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা (সাইকেল), গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম (মাছ), এনপিপির জিয়া জামান খান (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা মোহসিন (আপেল)।
এ উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ ১৫ ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৭ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৪১ ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৬৬।
এদিকে, নিছিদ্র নিরাপত্তায় ভোট সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৮ প্লাটুন বিজিবি, র্যা বের ১৬টি ইউনিট, ৪ হাজার পুলিশ ও আনসার দায়িত্ব পালন করছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহত হলে এ আসনটি শূন্য হয়।
/এআর/