এমপি লিটন হত্যা: কাদের খাঁনের জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন নথিভুক্ত

নিহত এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটনগাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জেলহাজতে থাকা সাবেক এমপি (অব.) কর্নেল ডা. আব্দুল কাদের খাঁনের ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন নথিভুক্ত করেছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মইনুল হাসান ইউসুফ আবেদনটি নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

কাদের খাঁনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এমপি লিটন হত্যা মামলায় কাদের খাঁনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশ কাদের খাঁনকে নির্যাতন করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে। এরপর কাদের খাঁন আদালতে লিটন হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

তিনি আরও জানান, কাদের খাঁন স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দেননি। পুলিশ কর্তৃক দেওয়া বক্তব্যই কাদের খাঁন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। যেহেতু তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেননি তাই এটি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে আবেদন নথিভুক্ত করেন। জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য এখন উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকালে বগুড়া জেলা শহরে কাদের খাঁনের পরিচালিত গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি লিটন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। রিমান্ডের চতুর্থ দিনের মাথায় কাদের খাঁন আদালতে ১৬৪ ধারায় লিটন হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে কাদের খাঁন গাইবান্ধা কারাগারে আছেন। লিটন হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত পুলিশ কাদের খাঁন, চার কিলার, তিন সহযোগী ছাড়াও ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।

/বিএল/