সেতু আছে, সংযোগ সড়ক নেই!

Nilphamari Brize picসেতু থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক। ফলে কাজে আসছে না লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি। মই ব্যবহার করে সেতুতে উঠানামা করতে হয়।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভেড়ভেড়ী গ্রামের সালামের মোড় থেকে জমসের আলীর বাড়ির সামনের সড়কে খালের ওপর সেতু থাকলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় তা কোনও কাজে আসছে না। ফলে লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও উপকার পাচ্ছে না এলাকাবাসী।

উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন বলেন, ‘সেতুটির দুই পাশে সড়ক করার জন্য মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় একাধিকবার বলেছি। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, আসন্ন ঈদে ওই রাস্তা দিয়ে শতশত মানুষ এলাকার সাতপাই ময়দানে নামাজ পড়তে যাবে। কিন্তু ওই ময়দানে যাওয়ার একমাত্র ভরসা সেতুটিতে সংযোগ সড়ক না থাকায় বিপাকে মানুষ।

সূত্র জানায়, ত্রাণ ও পুর্নবাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালে মেসার্স মিনহাজুল এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে।

স্থানীয়দের অভিযাগ, নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচল করা যাচ্ছে না। এটি এখন ধান শুকানোর কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলে জানান ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আজগার আলী।

সরেজমিন দেখা যায়, এলাকার রহিমা বেগম নামে এক নারী ধান শুকানোর কাজ করছেন সেতুটিতে। সেতুর দু’ পাশে কোনও সড়ক নেই।

সেতুতে উঠলেন কিভাবে জানতে চাইলে রহিমা বেগম বলেন, ‘ক্যান মই দিয়া।’

তিনি বলেন, গত এক বছর ধরে এর গোড়ায় মাটি পড়েনি। তাই এলাকার মানুষ ধানের সময় ধান শুকায়।

সাতপাই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঠিকাদার দায়সারাভাবে সেতুটি নির্মাণ করে চলে গেছে, এখন আর খবর নেই। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুর সঙ্গে মই যুক্ত করে লোকজন চলাচল করছিল। এবার বর্ষায় যে কী হবে আল্লাহই ভাল জানেন।

কিশোরগঞ্জ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন। এর আগে যিনি কর্মরত ছিলেন তিনি সেতুর যাবতীয় বিল পরিশোধ করায় এখন আর ওই ঠিকাদার কোনও কথা শুনছেন না। তবে ঠিকাদারের জামানতের টাকা আটকা আছে। আমি দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ করে দিতে বলেছি। কথা না শুনলে তার জামানতের টাকা দিয়ে ওই সেতুর রাস্তার কাজ করা হবে।

/বিএল/