এবার ঈদের বাজারে নীলফামারীতে চলছে কেনাকাটার ধুম। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে দোকানে দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা। শহরের পৌর মার্কেট, হাজী মকবুল মার্কেট, হাজী মহসিন সড়ক, বড়বাজার ও নীলফামারী পৌর সুপার মার্কেটে বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে এবারে বেড়েছে আগাম বিক্রি। উচ্চবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা সাধ আর সামর্থ্যের মধ্যে কেনাকাটা করছেন নিয়মিত। প্রতিদিনই মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা।
জেলা শহরের হাজী মকবুল হোসেন মার্কেটে কথা হয় সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের বাজিত পাড়া গ্রামের কৃষক বাবুল হোসেনের (৫০) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সব সদস্যের নতুন কাপড় কেনা প্রায় শেষের দিকে। এখন নিজের জন্য একটি পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। তিনি বলেন, সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কাপড় কিনতে পেরে বেশ ভালোই লাগছে।’
মার্কেটে আসা গোলাপী বেগম (৩৪) নামের এক নারী ক্রেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার ঈদে পছন্দের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। দামের ব্যাপারেও তেমন ঠেকছে না। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করতে পেরে খুশি লাগছে।’
শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, ফতুয়া, শিশুদের জামা কাপড়ে ঠাসা দোকানগুলো ঘুরে পছন্দের পোশাক বাছাই করছেন ক্রেতারা। তাদের আগ্রহ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পোশাক হাসিমুখে দেখাচ্ছেন দোকানদাররা।
সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া গ্রামের আইয়ব আলী (৫৫) বলেন, ‘বিভিন্ন দোকানে কাপড় যাচাই করে নিজের পছন্দটা ঠিক করছি। এরপর তুলনামূলকভাবে বেশি পছন্দেরটা কিনে ফেলবো।’
সততা বস্ত্রালয়ের মালিক আসাদুল হক বলেন, ‘এবারে নারীদের পছন্দ দেশি শাড়ি। এর মধ্যে সিল্ক, টাঙ্গাইল, হাফ সিল্ক শাড়ির চাহিদা বেশি। ক্রেতারা জামদানি কম কিনছেন। দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।
অপরদিকে, ‘বিদেশি থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। সাড়ে তিন থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে ভারতীয় ফ্লোর টাচ, বাধন, গঙা, ভরসা, গাউন, বিনয়, বরুস কিনছে ক্রেতারা।’
হাজী মকবুল হোসেন মার্কেটের কালারস এর মালিক আব্দুর রাজ্জাক (৩৭) বলেন, ‘এবার ধান চালের দাম বেশি, তাছাড়া চাকুরীজীবীরাও মাসের শুরুতে বেতন বোনাস পেয়েছেন, এজন্যই আগাম বিক্রি বেড়েছে। পাশাপাশি পণ্যের দাম ভাল পাওয়ায় অন্যান্য পেশার মানুষের সঙ্গে কৃষকরাও কেনাকাটা করছেন মন ভরে।’
/টিএন/আপ-এমও/