নিখোঁজ বিজিবি জওয়ানকে উদ্ধারে তিস্তায় যাচ্ছে হেলিকপ্টার

নিখোঁজ বিজিবি জওয়ানকে উদ্ধারে স্পিডবোটের সাহায্যে তিস্তা নদীতে তল্লাশি। ছবি-মোয়াজ্জেম হোসেন

লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে ভারতীয় গরু পাচার প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াকে উদ্ধারে তিস্তায় হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে বিজিবির একটি হেলিকপ্টার লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ভারতীয় তিনটি ও বিজিবির তিনটি স্পিড বোট তিস্তায় বিজিবি সদস্যের সন্ধানে তৎপরতা চালাচ্ছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তিস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় সাধারণ মানুষে নিখোঁজ বিজিবির সদস্যের সন্ধানে খোঁজাখুঁজি করছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ মনিটরিং করছেন। উপস্থিত আছেন তিনিসহ দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন।

নিখোঁজ জওয়ানকে উদ্ধারে তিস্তা নদীর পাড়ে বিজিবি’র তৎপরতা
তিনি আরও জানান, তিনিসহ তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে অবস্থান করছে রংপুর-৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক মেজর মুহিত। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবির প্রায় দেড় থেকে দুই শতাধিক সদস্য তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিচ্ছেন।
এর আগে সোমবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে ভারতীয় গরু পাচার প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া। সুমন মিয়া রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্য। কিন্তু তিনি ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পে সংযুক্ত আছেন।
/এআর/টিএন/