সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা বাংলা ট্রিবিউনকে একথা জানিয়েছেন।
কারখানা সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট-ঢাকার মধ্যে যাতায়াতকারী লালমনিরহাট বা লালমণি এক্সপ্রেস অনেক পুরনো। তাই এটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে এবং গতিও কম ছিল। যাত্রীদের সুবিধার কথা এবং এ অঞ্চলের মানুষের দাবির মুখে এ ট্রেনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই বাংলাদেশ রেলওয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পুরনো ১৮টি বগি পাঠায়। জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি বগিগুলোর অবকাঠামো সম্পূর্ণ খুলে ফেলা হচ্ছে। এসব বগি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। আর প্রতিটি বগি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা বলেন,‘নতুন বগিগুলোর নির্মাণ কাঠামোতে পরিবর্তন আসছে। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে আর সেই সঙ্গে ট্রেনের গতিও বাড়বে। এতে চেয়ার কোচ সংযোজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগিও থাকবে।’
১৯ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) শামসুজ্জামান কাজ দেখতে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই) ইফতেখার হোসেন,প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিওএস) বেলাল হোসেন সরকার প্রমুখ।
/এসটি/