এদিকে, ব্রক্ষপুত্র, করতোয়া, ঘাঘট ও বাঙালি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০টি জায়গা এখনও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। শহর রক্ষায় ডেভিট কোম্পানিপাড়ার বাঁধ ও সিংড়া-রতনপুরসহ ৫টি পয়েন্টে কয়েক দফায় পানি চুয়ে ভাঙন ধরে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রক্ষা করে। তবে এসব বাঁধ যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে শহরসহ আরও নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
অপরদিকে, বন্যার কারণে ১৩ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত জেলার সাদুল্যাপুর, সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পানিতে ডুবে তিন শিশু এবং সদর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে জেলার ২৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। পাঠদান বন্ধ রয়েছে ১২টি মাধ্যমিক ও ৬টি মাদ্রাসায়।
বানভাসি মানুষের অভিযোগ, এক সপ্তাহ ধরে মানবেতর জীবনযাপন করলেও খোঁজ-খবর তো দূরের কথা এখনও পাননি ত্রাণ সামগ্রী বা কোনও চিকিৎসা সেবা। বানভাসিদের মধ্যে ত্রাণ না পৌঁছানোয় ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। তবে বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবায় যে মেডিক্যাল টিম কাজ করছে তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম।
জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, জেলায় ২ লাখ ৮৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত মানুষদের মধ্যে ৬২৬ মেট্রিক টন চাল ও ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। মজুদ রয়েছে ৬৪ মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এছাড়া আরও ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ভেঙে গেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় সেনাবাহিনীর কারিগরি দল বাঁধ রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।’
/বিএল/
আরও পড়ুন:
বন্যায় রাজশাহী বিভাগে ৫৬৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া বন্ধ