রবিবার (২০ আগস্ট) কুড়িগ্রামের রাজারহাটের পাঙ্গারাণী লক্ষীপ্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে প্রথম ত্রাণ পাওয়া সুরতভান বেগম এ কথাগুলো বলেছেন। ত্রাণ নেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী প্রায় মিনিট খানেক তাকে জড়িয়ে থাকেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন।
সুরতভান বেগম জানান, ত্রাণ পেয়ে তিনি অনেক খুশি। বন্যায় বাড়িঘরের ক্ষতি হলেও প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্য পেয়ে সব কষ্ট ভুলে গেছেন তিনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ত্রাণ নিতে আসা নারী-পুরুষরা সবাই অত্যন্ত খুশি।
ছিনাই ইউনিয়নের চতুর্ভূজ গ্রাম থেকে ত্রাণ নিতে আসা রেণু বালা জানান,‘না চাইতে ত্রাণ পাইলং (পেলাম), আর কী চাই!’
একই কথা জানান, ত্রাণ নিতে আসা ফুলো রাণী, নুরজাহান ও সুলেখাসহ রাজারহাটের ত্রাণ নেওয়া অনেক নারী-পুরুষ।
এর আগে বন্যাদুর্গত মানুষদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দুর্যোগ মোকাবিলায় যা যা করণীয় আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমরা বিজয়ের জাতি, আমরা বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করবো।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের পাশে থাকার জন্য, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমার রাজনীতি।’ পরে বন্যাদুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে গত তিন বছরে পরপর তিনবার কুড়িগ্রাম সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন। তারও আগে ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর ছিটমহলে বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন ও কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কুড়িগ্রাম সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
/এআর/