বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে আমন ধানের চারা বিতরণ করলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী

আমন ধানের চারা বিতরণ করছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী

নীলফামারী সদরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে রোপা আমন ধানের চারা বিতরণ করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের আয়োজনে শহরের মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে চারা বিতরণ শুরু হয়।জেলার ছয়শ’ কৃষকের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নীলফামারী সদরে ১২০ জনকে এ চারা দেওয়া হয়।

এসময় সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন,‘কৃষকদের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে  শেখ হাসিনা হাসিনা সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় বসে না থেকে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশনে যাচ্ছেন, ত্রাণ বিতরণ করছেন, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি কৃষকের কল্যাণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঠিক দায়িত্ব পালনের জন্য কঠোর নির্দেশ  দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন,‘উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলায় এবারের বন্যা ভয়াবহ আকারে  দেখা দিয়েছিল। আমার জীবদ্দশায়  এ ধরনের বন্যা কখনও দেখিনি। যা ১৯৮৮ সালের বন্যাকেও হার মানিয়েছে। এটা বন্যা প্রবণ এলাকা না হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ বন্যা মোকাবিলায় তেমন কোনও প্রস্তুত ছিল না। এ কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুত থাকতে হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ উয়িংয়ের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. আশ্রাফ উদ্দীন আহমেদ, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু প্রমুখ।।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. কেরামত আলী জানান, বন্যা  মোকাবিলার জন্য নীলফামারী বিএডিসি খামার বিনাসাইল জাতের আমন বীজতলা তৈরি করেছে। বিএডিসির তৈরি ওই চারা জেলার ছয়শ’ কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হবে। ওই চারা প্রতি জন কৃষক এক বিঘা জমিতে রোপণ করতে পারবে।

তিনি আরও জানান, জেলার ছয় উপজেলার ৯২ হাজার ৩৬০ জন কৃষকের ৮ হাজার ৩৩৯ হেক্টর জমির সম্পূর্ণ এবং ২৯ হাজার ৪৫১ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে ওই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১১৯ কোটি টাকা। আমন ও অন্যান্য ফসলসহ জেলায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা।

আরও পড়তে পারেন: ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড