‘সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাজারহাট গড়ি’ স্লোগান নিয়ে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ।
উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপজেলা পরিষদ, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং লক্ষাধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন। এই কর্মসূচি সফল করতে গত ৯ মাসে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। প্রায় ২৫ হাজার বাঁশ স্বেচ্ছায় দান করেছেন উপজেলাবাসী, যা দিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ খুঁটি তৈরি করা হয়েছে । এছাড়াও অনেকে গাছের চারাও দান করেছেন, কিছু গাছ উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে উৎপাদন করা হয়েছে, কেনা হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ গাছের চারা।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া রাজারহাট উপজেলাকে সবুজ শ্যামল করে গড়ে তুলতে এবং এ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, পাখির জন্য অভায়াশ্রম সৃষ্টিসহ সম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘স্বাভাবিক নিয়মে এই পরিমাণ বৃক্ষরোপণ করতে প্রায় ১০০ বছর সময় এবং সোয়া তিন কোটি টাকার প্রয়োজন হতো। কিন্তু আমরা উপজেলাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সহযোগিতায় মাত্র এক ঘণ্টায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে সেই কাজ সম্পন্ন করছি। এই কৃতিত্ব উপজেলার সবার।’
শুধু বৃক্ষরোপণের জন্য নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির জন্য আমাদের এই কর্মসূচি বলে জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হাসেমসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তারা।