দুই নব্য জেএমবির বিরুদ্ধে মামলা: হাজির না হওয়ায় পাঁচ সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

দিনাজপুরদিনাজপুরের ইসকন মন্দিরে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত শীর্ষ দুই নব্য জেএমবির সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র মামলায় পাঁচ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক। দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমেদ বুধবার এই নির্দেশ দেন।  

আলোচিত এই অস্ত্র মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল বুধবার। দুপুর সাড়ে ১২টায় এই মামলার আসামি নব্য জেএমবির শীর্ষ দুই এহসার সদস্য লালমনিরহাট সদর উপজেলার বানভাষা গ্রামের শামসুল আলম খন্দকারের ছেলে মোসাব্বিরুল আলম খন্দকার ওরফে প্রিন্স (২৮) ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের সাখওয়াত হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে ডেনিসকে (৩০) পুলিশি পাহারায় আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু মামলার সাক্ষীরা উপস্থিত না হওয়ায় মামলার পরবর্তী তারিখ ১২ নভেম্বর ধার্য করা হয়।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট মামলার সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে সমন জারি করা হয়েছিল। সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এই পাঁচ সাক্ষী হলেন- মামলার এজাহারকারী বীরগঞ্জ থানার এসআই শাহাদত হোসেন, বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া গুচ্ছগ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোশাররফ হোসেন, ইসমাইল হোসেনের ছেলে আমির আলী এবং একই উপজেলার প্রাণনগর গ্রামের মফিজুল হকের ছেলে এমদাদুল হক, রইসউদ্দীনের ছেলে মহির উদ্দীন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর রাতে কাহারোল উপজেলার ইসকন মন্দিরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টায় বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের সিংড়া গুচ্ছগ্রাম থেকে নব্য জেএমবির শীর্ষ এহসার সদস্য মোসাব্বিরুল আলম খন্দকারকে ৪২ রাউন্ড গুলি ও একটি অত্যাধুনিক রাইফেলসহ জনগণের সহায়তায় পুলিশ আটক করে। এই ঘটনায় বীরগঞ্জ থানার এসআই শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ডিবি পুলিশের এসআই বজলুর রশিদ গত বছর ১০ জানুয়ারি তদন্ত করে নব্য জেএমবির এহসার সদস্য মোসাব্বিরুল ও শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেন।

আরও পড়ুন- কোচিং ও গাইড বই বন্ধে আইন হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী