বহিষ্কার হওয়া তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী হলেন- ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ হাসান নয়ন ও মজিদুল ইসলাম বাবু।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার ওয়াহিদুন্নবী সাগর বলেন, ‘তিনজনকে বহিষ্কারের কথা শুনেছি। উপজেলা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ হাতে পেলে আমরা স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠাবো।’
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের সদস্য রতন সদর ইউনিয়নের মাঝিপাড়ায় নারী সংক্রান্ত একটি বিরোধ মীমাংসা করতে গেলে সেখানে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান তার সাঙ্গপাঙ্গসহ রতনের ওপর হামলা চালান। এসময় তিনি মাথায় আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা রতনকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে জেলা পরিষদ সদস্য রতনের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার ফুলবাড়ীতে অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছে তার সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, আহম্মদ আলী পোদ্দার রতন নব্বইয়ের দশকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।