এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.ময়নুল ইসলাম, উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার।
চাল পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরযাত্রাপুর গ্রামের জেলে আব্দুর রাজ্জাক ও সানোয়ার জানান, আমরা বন্যায় সর্বহারা হইছি, পেটের জ্বালায় মাছ ধরি। এহন সরকার আমাগো চাল দিছে, আমরা আর ২২ তারিখ (২২ অক্টোবর) পর্যন্ত ইলিশ ধরুম না।
ইউএনও জানান, জেলেরা যাতে অভাবের তাড়নায় মা ইলিশ শিকার না করেন সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি জেলেকে জিআর এর ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
জেলেদেরকে সতর্ক করা হয়েছে জানিয়ে ইউএনও বলেন, ‘এরপরও তারা ইলিশ শিকার করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, ১৬ অক্টোবর ‘কর্মকর্তারা পান উপহার, টাকার বিনিময়ে মেলে ইলিশ শিকারের অনুমতি’ শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অভাবের কারণে জেলেরা ইলিশ শিকার করলেও তাদেরকে কোনও সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ২০০ জেলেকে সরকারি উদ্যোগে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
কর্মকর্তারা পান উপহার, টাকার বিনিময়ে মেলে ইলিশ শিকারের অনুমতি!