জিএম কাদের বলেন, ‘রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের কোষাগার থেকে শিক্ষকদের শতভাগ বেতন দেওয়া হচ্ছে। অবৈতনিক শিক্ষা, উপবৃত্তি ও বইপুস্তক দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার জন্য প্রচুর অর্থ ছাড় করা হচ্ছে। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সরকারকেই এর কারণ খুঁজে সমাধান করতে হবে। একসময় শিক্ষকতা ও চিকিৎসা পেশা ছিল নোবেল প্রফেশন। এখন এই পেশাও ব্যবসাকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। যা মোটেও কাম্য নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই অস্থিরতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আরও বাড়ছে। কোনও বিষয়েই সত্যিকার অর্থে মানুষ নিশ্চিত হতে পারছে না।’
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জাপার কো-চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনের দিকে নির্বাচনকে ঘিরে মনে হচ্ছে যেন একটি ঝড় দানা বেঁধে উঠছে। ঝড়টা কী? ঝড়টা হলো মানুষের মধ্যে শঙ্কা, মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা। সামনের দিকে কী কী অনিশ্চয়তা? সময়মতো নির্বাচন হবে, না আগেই হবে? সময়মতো যদি নির্বাচন হয়, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কিনা? প্রশ্ন আসছে সব দল অংশগ্রহণ করবে কিনা? যদি অংশগ্রহণ করে, তাহলে শান্তিপূর্ণভাবে হবে কিনা? নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরে কী হবে? কেউ নিশ্চিতভাবে কিছু জানে না। এরপরও এই অস্থিরতার মধ্যদিয়ে নির্বাচনকে ঘিরে আমরা সামনের এগিয়ে যাচ্ছি।’
নাবিলা ফারাহ্ বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির যুগ্ম সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও নাবিলা ফারাহ্ বিদ্যা নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা রোকন উদ্দিন বাবুল, সামসুদ্দিন-কমর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রভাষক উমর ফারুক ও কালীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাজির হোসেন প্রমুখ।