রংপুরে সেনা মোতায়েনে সিইসি’র না

রংপুর সিইসি কে এম নুরুল হুদা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না। বরং চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সিটি নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রংপুর জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি জানান, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ২২ থেকে ২৩ জন সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও আনসার-ভিডিপি, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়াও আচরণবিধি লংঘনসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য ২২টি টিম ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। শুক্রবার থেকে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ শুরু করবেন।

মেয়র প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না- বিএনপির এমন আশঙ্কা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ করতে যা যা করার প্রয়োজন সব করা হবে। এখানে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।’ বিএনপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে দলটির এমন অভিযোগ অমূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য কাউকে থ্রেট মনে করলে পুলিশ অবশ্যই তা করবে। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না।’

সিইসি বলেন, ‘আমরা মাত্র একটি ভোট কেন্দ্রে ডিভিএম ব্যবহার করার চিন্তা করছি। তারপরেও যে ভোট কেন্দ্রে এটি করা হবে সেখানকার ভোটাররা যদি ওই যন্ত্রের সাহায্যে ভোট দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করেন তাহলে আমরা ডিভিএম ব্যবহার করবো না।’ অপরদিকে মাত্র একটি কেন্দ্রে সিসিটিভি পরীক্ষামূলক ব্যবহারের চিন্তা ভাবনা চলছে বলেও জানান তিনি।

গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিটি শব্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই যতটুকু সত্যি ততটুকু প্রকাশ করার অনুরোধ জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহাম্মেদ, রংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুখ, জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।