ইজতেমার আয়োজক কমিটির সূরা সদস্য হুমায়ুন কবির জানান, সৌদিআরব, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, মরক্কো, ফিলিপাইনসহ ৬/৭ দেশের জামাত ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি জামাত বন্দি হয়ে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বাদ আসর কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা আব্দুল মালেকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়। বুধবার বাদ মাগরিব ও বৃহস্পতিবার বাদ ফজর কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব কোরআন ও হাদিসের আলোকে হেদায়েতের বয়ান পেশ করেন। এ সময় লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির সুবহান আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবর ধ্বনীতে মুখরিত হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দান। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বায়ন করেন বগুড়া মার্কাস মসজিদের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা ওজিউল্লাহ। তিনি তার বয়ানে ঈমান ও আমল মজবুত করতে মুসল্লিদের হযরত মোহাম্মদের (সা.) সুন্নত ও আদর্শ নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে দ্বীন ও ইসলামের দাওয়াত দেন তিনি। বাদ আসর বয়ান করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব এবং বাদ মাগরিব বয়ান করেন মাওলানা হযরত ফারুক সাহেব। শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব বয়ান করবেন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বৃহত্তম এই বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ইজতেমা প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী মুসল্লিরা নিয়োজিত রয়েছেন।