তীব্র শ‌ীতে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামবাসী

শীতে আগুন পোহাচ্ছেন লোকজনকুড়িগ্রামে তীব্র শীতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় দিনের অর্ধেক বেলা এবং রাতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষজন। সন্ধ্যা হতেই ঘরমুখো হচ্ছে মানুষজন। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ এবং শিশু ও বৃদ্ধরা।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, এখন পর্যন্ত শীত জনিত রোগের কারণে কোনও রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতালে ২৪ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে যার অধিকাংশই শিশু।

এদিকে তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষজন। যারা জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে কাজে বের হচ্ছেন তাদের অনেকে কর্মস্থলে খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষজন গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের অববাহিকায় অবস্থিত কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার জানান, তার ইউনিয়নে বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে ঘরবাড়ি ঠিকভাবে মেরামত করতে না পারায় শীতের হিমেল হাওয়ায় দারুন কষ্ট ভোগ করছেন। তার ইউনিয়নে প্রায় চার হাজার শীতার্ত পরিবার থাকলেও এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে মাত্র ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে যা নিতান্ত কম।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে দুস্থ মানুষদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা আরও চাহিদা পাঠিয়েছি, হাতে পাওয়ামাত্র আবারও বিতরণ করা হবে।