৪২টি মামলা নিয়ে আমি নির্বাচন করতে পারলে তারা কেন পারবেন না: এরশাদ

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণ করার আগের ঘোষণা থেকে সরে এলেন। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রংপুরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে কোনও জোট করবো না। তবে এখনও ঠিক করিনি মহাজোটের সঙ্গে থাকবো নাকি এককভাবে নির্বাচন করবো। পরিবেশ-পরিস্থিতিই সেটা বলে দেবে।’

রংপুরে এইচ এম এরশাদ‘খালেদা জিয়াসহ নেতাদের জেলে রেখে দেশে কোনও নির্বাচন হবে না’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, ‘১৯৯০ সালে আমাকে আমার স্ত্রী-সন্তানসহ এবং হাজার হাজার নেতাকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়। আমার নামে ৪২টি মামলা দেওয়ার পরেও ‘৯১ এর নির্বাচন জেলে থেকেই করেছি। আমি নির্বাচন করতে পারলে তারা পারবেন না কেন? খালেদা জিয়া অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আর যদি না করে থাকেন তাহলে শাস্তি হবে না। এ নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কী আছে?’

৩০০ আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্ধারণ করা আছে বলে দাবি করেন এরশাদ। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

এরশাদ আরও বলেন, ‘বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। গতবার তারা ছিলো না। এবার আমি আছি। নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং বিপুল ভোটে আমার দল জয়ী হবে।’

রাষ্ট্রপতি হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে এরশাদ বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতি হতে চাই না। কেননা বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কোনও কাজ নেই। বন্দি জীবনের মতো। স্যালুট নেওয়া ছাড়া কোনও কাজ নেই। রাষ্ট্রপতি হলে দলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না। যতদিন বেঁচে আছি জাতীয় পার্টিই করবো।’  

এর আগে ঢাকা থেকে বিমানে করে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরণ করেন এরশাদ। পরে সরাসরি মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছালে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তার ছোট ভাই দলের কোচেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিয়ার রহমান রাঙ্গা, রংপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাপা সম্পাদক ইয়াসির আহাম্মেদসহ অন্যান্য নেতারা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।