নীলফামারীতে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলনে মানুষের ঢল

নীলফামারীতে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন‘উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে, ওই যে তিনি, ওই যে বাহির পথে’ এই বোধন সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন শুরু হয় নীলফামারীতে। সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চলমান এই সম্মেলনে নেমেছে মানুষের ঢল। আগামীকাল রবিবার (১১ মার্চ) এই সম্মেলন শেষ হচ্ছে।

তিন দিনের এই বার্ষিক অনুষ্ঠানে দেশের রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের ৮৪টি শাখার নেতারাসহ প্রায় দুইশতাধিক স্থানীয় শিল্পী ও কলাকুশলী অংশ নিচ্ছেন। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিনেই প্রায় ২০ হাজার দর্শক শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন সম্মেলনে।নীলফামারীতে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন

শুক্রবার সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন ঘোষণার সময় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, ‘রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ শুধু সংগীত, নৃত্য কিংবা আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। মানুষের মাঝে চেতনা তৈরি, সচেতন করা, অসাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে। কারণ সংস্কৃতির মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িকতা প্রতিষ্ঠা করা যায়। যে জাতীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ, সুকান্ত, নজরুল আছে সে জাতি কখনই ভীরুর জাত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তার সংস্কৃতি ধারণ করে রেখেছে। তাই সম্মিলন পরিষদের কর্মকাণ্ড কখনই আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং পরিণত হয়েছে সংস্কৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলায়। যার মাধ্যমে জাগ্রত হবে বাঙালি জাতি।’নীলফামারীতে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. সনজীদা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম, নীলফামারী রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সদস্য সচিব ডা. মুজিবুল হাসান চৌধুরী শাহীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম রিন্টু প্রমুখ।

আগামীকাল রবিবার (১১ মার্চ) সমাপনীর দিনে সকালে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন, বিকালে প্রতিনিধি সম্মেলন ও গুণীজনদের রবীন্দ্র পদক দেওয়া হবে। এদিন রাতে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ।