নিকাহ রেজিস্ট্রার আমজাদ আলী ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে তার নিজের নাবালিকা মেয়ে আরজিনা বেগমকে পাশের চিলারং পাহাড়ভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দেন। আরজিনা মধুপুর ঈদগাঁ দাখিল মাদরাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। জুনিয়র দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ০২/০৫/২০০২। মাদরাসার সনদ অনুযায়ী বিয়ের সময় আরজিনার বয়স ছিল ১৫ বছর ৩ মাস ১১ দিন। একইভাবে তিনি ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী জেলি আক্তার নামে এক নাবালিকা মেয়েকেও বিয়ে দেন বলে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
গত বছর নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসক ওই বছরের ১৭ এপ্রিল এক পত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৩১ আগস্ট এক পত্রে রুহিয়া থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন। রুহিয়া থানার পুলিশ তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেয়।
রিপোর্টে বলা হয়- কাজী আমজাদ আলী শুধু নিজের মেয়ের বিয়ে দেননি। পাশের আরও একাধিক মেয়ের বাল্যবিয়ে দিয়েছেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা অনুযায়ী কাজীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২৮ ডিসেম্বর সুপারিশ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন।
এই বছরের গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন। কিন্তু, জেলা রেজিস্ট্রার জেলা প্রশাসকের নির্দেশ ও তদন্ত উপেক্ষা করে একজন সাব রেজিস্ট্রারকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। তবে যেহেতু এটি নীতিগত ব্যাপার তাই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।’
এই প্রসঙ্গে জানতে জেলা রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।