সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পঞ্চগড় জেলা মৎস্য অধিদফতরের সহযোগিতায় কমন বেনিফিসিয়ারি গ্রুপ (সিবিজি) পদ্ধতিতে তালমা রাবার ড্যাম এলাকার ২০ জন মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষি ও সুবিধাভোগী তালমা নদীতে নেট ও প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে খাঁচা (কৃত্রিম পুকুর) তৈরি করেন। এরপর প্রতিটি খাঁচায় ৪০ কেজি করে মনোসেক্স্র তেলাপিয়া মাছের পোনা ছাড়েন। দুই মাস তিনদিন পরে এক একটি পোনার/মাছের ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম থেকে আড়াই’শ গ্রাম পর্যন্ত হয়েছে। এই পদ্ধতি এলাকাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আফতাব হোসেন বলেন, ‘উন্মুক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত জলাশয়ে নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ পঞ্চগড়ে এটাই প্রথম। অন্যান্য জেলায় এর চাহিদা থাকলেও আমাদের জেলার মৎস্যচাষি ও মৎসজীবীরা তা বুঝতেন না। তালমা নদীতে প্রথম খাঁচায় মাছ চাষে সফলতা আসায় জেলা মৎস্য অফিস সিবিজি পদ্ধতি চাষি ভাইদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। লাভজনক হওয়ায় এখন অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এরই মধ্যে এই সিবিজি পদ্ধতি অবলম্বন করে দেশি শিং মাছ ও মাগুর মাছ উৎপাদন করতে আমরা সক্ষম হচ্ছি। আশা করি মৎস্যচাষি ভাইয়েরা লাভবান হবেন। বেকার যুবকেরাও যদি এই পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষে এগিয়ে আসেন জেলা মৎস্য অফিস তাদের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।’