সাবেক চার ছিটমহলে প্রথমবারের মতো জাতীয় শোক দিবস পালিত

সাবেক চার ছিটমহলে প্রথমবারের মতো জাতীয় শোক দিবস পালিতনীলফামারীর ডিমলায় বিলুপ্ত হয়ে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত হওয়া চার ছিটমহলে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।

বুধবার (১৫ আগস্ট) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিলুপ্ত ছিটমহল নয়াবাংলা এলাকার শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অর্ধনমিতভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় শোক দিবস পালনে সকাল ৯টার দিকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি নয়াবাংলার বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার ইমরান চৌধুরী জনির নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক ছিটমহলবাসী। সেখানে আলোচন সভা, দোয়া মাহফিল ও বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে শিশুদের রচনা লিখন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

সাবেক ছিটমহল আন্দোলন কমিটির নেতা ফরহাদ হোসেন জানান, ‘বিলুপ্ত ছিটমলবাসী এই প্রথম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করলো। তিন বছর আগে ছিটমহল বিলুপ্ত হয়েছে। আমরা এখন বাংলাদেশের নাগরিক।’

তিনি বলেন, ‘ছিটমহল বিলুপ্ত হয়েছে তিন বছর আগে। অথচ এই তিন বছরে এক বারের জন্যে বাংলাদেশের নতুন এই ভূখণ্ডে দলীয় কিংবা সরকারিভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী কিংবা জাতীয় শোক দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়নি। তবে এখন থেকে প্রতিবছর সাবেক এই ছিটমহলে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হবে।’

সাবেক ছিটমহল আন্দোলন কমিটির নেতা ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার ইমরান চৌধুরী জনি,  মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আউয়াল, আবুল হোসেন, শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন ও শিক্ষক বাছিরন বেগম প্রমুখ।