কুড়িগ্রাম-৪ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন ইমরান এইচ সরকার, ইশতেহার ঘোষণা



ইমরান এইচ সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা কুড়িগ্রাম-৪ (রাজিবপুর, রৌমারী ও চিলমারী) আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সেখান থেকে নির্বাচন করবেন তিনি। নির্বাচনি এলাকার জনগণের সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে ইতোমধ্যে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তিনি। ইমরান এইচ সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) আমি নির্বাচনি এলাকা রাজিবপুরে যাবো। সেখানে পৌঁছে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করবো। এলাকার জনগণের অধিকার আদায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবো। সে লক্ষ্যে একটি প্রাথমিক ইশতেহার ঘোষণা করেছি। তবে, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদা বিবেচনা করে এই ইশতেহারটিতে কিছু সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে।’

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী গ্রামের সন্তান ইমরান এইচ সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারের বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:

১. নদীভাঙন থেকে রাজীবপুর-রৌমারীকে রক্ষায় ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব তীরে বাঁধ নির্মাণ এবং নদী ড্রেজিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২. রৌমারী-রাজিবপুর এবং চিলমারীতে দুটি আলাদা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে নারী ও যুবসমাজের ব্যাপক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে।

৩. চিলমারী-রৌমারীর নৌ ও স্থল বন্দরকে কার্যকর এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে।

৪. রাজিবপুর-রৌমারী এলাকায় স্থায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা চিরতরে নিরসন করা হবে।

৫. রৌমারী-রাজিবপুরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রাথমিকভাবে ফেরি এবং পরবর্তীতে ব্রহ্মপুত্র নদে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

৬. রাজধানী ঢাকার সঙ্গে রৌমারী এবং চিলমারীর সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে, যাতে অবহেলিত এ অঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ সুগম হয়।

৭. নির্বাচনি এলাকার চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক উপজেলা হাসপাতালে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

৮. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধুনিক ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু এবং নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত ভবন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

৯. দুর্গম চরগুলোতে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বিদ্যুতের ব্যবস্থাসহ জীবন মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১০. তরুণদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পর্যাপ্ত কম্পিউটার ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

১১. সরকারি খরচে বিদেশে জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে এলাকার বেকারত্ব নিরসন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।