পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধর

পঞ্চগড় জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আপেল মাহমুদকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘটা এ হামলায় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলামও আহত হয়েছেন। এই মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে পঞ্চগড়-তেতুলিয়া মহাসড়কের তেতুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোটর মালিক ও শ্রমিক পক্ষ কিছু সময়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আপেল মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই চলছিল। যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নিচে নামি। এসময় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের নেতৃত্বে তার অনুসারী একদল যুবক আমাকে ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জহিরুলের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। হামলাকারীরা বেদম মারপিট করে পাঞ্জাবি-শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।’
আপেল মাহমুদের দাবি, তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হবেন এই আশঙ্কাতেই অপর প্রার্থী ও তার অনুসারীরা মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এ বিষয়ে মামলা দায়ের করবেন এবং নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দেবেন।
পঞ্চগড় জেলা বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে গোটা জেলায়, প্রয়োজনে পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হবে।
তবে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘হামলাকারীরা দলের কেউ না। আমি তাদের কাউকে চিনি না এবং আমার সামনে কোনও ঘটনাও ঘটেনি।