সফর সূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে রেলমন্ত্রী কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে লালমনিরহাটের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে তার লালমনিরহাটে পৌঁছার কথা। আবার লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ‘বুড়িমারী শাটল’ ট্রেন চড়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে রেলপথ মন্ত্রী বুড়িমারী স্থলবন্দর জিরোপয়েন্ট থেকে প্রায় পাঁচশ’ গজ ভেতরে ভারতের অভ্যন্তরে চ্যাংরাবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পরিদর্শন করবেন।
মন্ত্রীর সফর সম্পর্কিত বিষয়টি বিজিবি-বিএসএফের মাধ্যমে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রীর সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ‘তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস’ নামের একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলতি মার্চে বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ঢাকা অভিমুখে চলার কথাও রয়েছে।
এদিকে বৃটিশ আমলের বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচলের রুটটি আবারও সচলের সম্ভব্যতা যাচাইয়ে রেলপথ মন্ত্রীর আসার খবরে বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। দীর্ঘদিন ধরে বন্দর ব্যবহারকারী দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও সাধারণ যাত্রীরা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের পাসপোর্টধারী যাত্রী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এবং পর্যটকদের চলাচলের জনপ্রিয় রুট হিসেবে খ্যাত বুড়িমারী-চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর অভিবাসন রুট দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের একটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহারকারী সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী তাহাজুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি বুড়িমারী-চ্যাংরাবান্ধা রেলওয়ে রুটে যাত্রিবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনার। সেক্ষেত্রে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে রংপুরের কাউনিয়া-লালমনিরহাট-বুড়িমারী পর্যন্ত প্রায় ৮৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ লাইন স্থাপন করা হলে এই রুটে ব্রডগেজ ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব। এটি করা হলে ব্যবসায়ী, পাসপোর্টযাত্রীদের পাশাপাশি যেমন স্থানীয় জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে তেমনি সরকারের রাজস্ব আহরণও কয়েকগুন বেড়ে যাবে।’
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘অবহেলিত লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিবন্ধকতাগুলো রেলপথ মন্ত্রীর নিকট তুলে ধরা হবে। যেমন লোকোমোটিভ, কোচ, রেলওয়ে লাইন, জনবল সমস্যাগুলো ছাড়াও আধুনিক যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে এই বিভাগের ৯টি রুটের সমস্যা সমাধানে করণীয় সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে অবহিত করা হবে।’