‘কমিশনের আশায় চীন-ভারতের সঙ্গে দেশ ধ্বংসের চুক্তি করছে সরকার’

বক্তব্য রাখছেন আনু মুহাম্মদ (ছবি– প্রতিনিধি)

তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘চীন ও ভারতের শক্তির প্রভাবে বর্তমান সরকার নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করছে। মোটা অংকের কমিশনের আশায় তারা চীন ও ভারতের সঙ্গে একের পর এক দেশ ধ্বংসের চুক্তি করে আসছে।’

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জিএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় সভাকক্ষে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘চীন ও ভারতের পরিত্যক্ত কর্মসূচি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। দেশীয় কোম্পানিগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশে একের পর এক কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বর্তমান সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে আসছে ভারত। চীন এখন আর সমাজতান্ত্রিক দেশ নয়, কিংবা ভারতও উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও নয়। চীন ও ভারত এখন সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ঋণের দায়ে জ্যামাইকার বিমানবন্দর দখলে নিয়েছে চীন; একইভাবে তারা বাংলাদেশকে ঋণের দায়ে আবদ্ধ করছে। ভারত নানাভাবে বাংলাদেশকে তাদের আয়ত্তে রেখে শোষণ করছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘রামপাল বিদ্যুকেন্দ্রটির মালিকানা ভারতের। এখানে যা লাভ হবে তার সবই নেবে ভারত; এখানে ভারতের কয়লা বিক্রি হবে। কিন্তু এই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে যে ক্ষতি হবে তার সবই বাংলাদেশের। একই অবস্থা পাবনার রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করছে রাশিয়া, ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ভারত। এই চুক্তিগুলো দেশবিরোধী, সরকার এই দেশবিরোধী চুক্তি করেছে কেবল ক্ষমতায় টিকে থাকার এবং মোটা অংকের টাকা নেওয়ার জন্য।’

সভায় তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও গণফ্রন্টের সভাপতি টিপু বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্যাহ আল কাফি, তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার আলী দুলাল, অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খাঁন, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, প্রকৌশলী মাহবুব সুমন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মুরাদ মোরশেদ প্রমুখ।