সোনাহাট বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ

সোনাহাট স্থলবন্দর (ছবি– প্রতিনিধি)

পণ্য আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এতে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) স্থলবন্দরে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।

বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানান, রংপুর কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কর্তৃপক্ষ এ বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের ওপর অ্যাসেসমেন্ট ফি টন প্রতি ১০ ডলার থেকে বৃদ্ধি করে ১২ ডলার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই প্রতিবাদে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে বন্দরে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আবু তাহের ফরায়েজী বলেন, ‘অ্যাসেসমেন্ট ফি ১০ ডলার থেকে বৃদ্ধি করে ১২ ডলার করার সিদ্ধান্তে প্রতি টন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের ডিউটি (ভ্যাট) বৃদ্ধি পাবে। এতে পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে দাবি, ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বন্দরকে সচল রাখতে আগের ফি বহাল রাখা হোক। এতে বন্দর সচল থাকার পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সবাই লাভবান হবেন।’

এ ব্যাপারে কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট, কুড়িগ্রাম সার্কেলের সহকারী কমিশনার আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘এটা এনবিআর-এর সিদ্ধান্ত। রংপুর সার্কেল অফিস থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

বন্দর সচল রাখার ব্যাপারে কী উদ্যোগ নেওয়া হবে, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বদলিজনিত কারণে আমি এখন কুড়িগ্রাম স্থলবন্দর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারছি না। যিনি নতুন দায়িত্ব নেবেন, তিনি এসব দেখবেন।’

উল্লেখ্য, সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে শুধু পাথর ও কয়লা আমদানি করে থাকেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।