শাহজাহান আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি গত কয়েক বছর ধরেই ধানের আবাদ করে আসছি। এবারও এক একর জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলাম, ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু এবার ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি অত্যন্ত বেশি। গতবার যেখানে ৩০০ টাকা মজুরি ছিল সেখানে এবার সাড়ে ৫০০-৬০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর ওপরে তাকে দু’বেলা খাওয়াতে হবে। সেই তুলনায় বাজারে ধানের দাম পাচ্ছি না। এতে করে আমরা ধান উৎপাদন করে হতাশার মধ্যে পড়েছি। সরকারের কাছে অনুরোধ আমরা যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পাই সে বিষয়টি নিশ্চিত করুক। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আজকে আমার মাঠে এসে ধান কেটে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। এজন্য তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
হাকিমপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকার হাজার টাকার ওপরে ধানের মূল্য ঘোষণা করলেও বাজারে ধানের দাম না পাওয়ায় এবং শ্রমিকের মজুরি বেশি থাকায় কৃষকরা হতাশায় পড়ে গিয়েছেন। তাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে আজ আমরা হিলির মুর্শিদপুর গ্রামের শাহাজাহান আলীর মাঠের ধান কেটে দিয়েছি। আমরা সব সময় কৃষকের পাশে রয়েছি। তাদের যে কোনও সমস্যায় আমরা তাদের পাশে থাকবো।’