অন্যদিকে প্রতিটি কেন্দ্রের কক্ষে থাকা এজেন্ট, প্রিজাইডিং-পোলিং অফিসার এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় অনেকটাই অলস সময় পার করছেন।
সকাল ৯ টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সোনারায় দাখিল মাদ্রাসা, ছাইতানতলা সরকারি বিদ্যালয়, গোপাল চরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বামনডাঙ্গা এমএম উচ্চ বিদ্যালয় এবং পৌর এলাকার আব্দুল মজিদ ও আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মীরগঞ্জ বাজারের পাশেই উপজেলা নির্বাচনের ৩৪নং কেন্দ্র। পৌর ও দহবন্দ ইউনিয়নের কিছু এলাকা নিয়ে আব্দুল মজিদ মণ্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের এ কেন্দ্রটি। কেন্দ্রে মোট ভোটার চার হাজার ১৯১ জন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ৪৮৮ জন। এতে কেন্দ্রে প্রায় ১২ পার্সেন্ট ভোট পড়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মু. মাহমুদ হোসেন মণ্ডল।
সোনারায় মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমিনুর রহমান নামে এক প্রার্থীর কর্মী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সকালে ভোটাররা আসেননি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট চলবে জেনে ভোটাররা এখনো কেন্দ্রে আসেননি। তবে দুপুরের পর কেন্দ্রে ভোটারদের লাইন হবে বলে তার বিশ্বাস।’
পৌর শহর এলাকার ৩৩ নম্বর ভোটকেন্দ্রটি মজিদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। সরজেমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের মাঠটি একেবারেই ফাঁকা। ভোটারদের কোনও লাইন সেখানে দেখা যায়নি। দুপুর দেড়টার দিকে দু’জন নারী ও একজন পুরুষকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তবে ২০ মিনিট অপেক্ষা করেও কেন্দ্রে আর ভোটার প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ১৮৮ জন। দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রের আটটি কক্ষে প্রায় সাতশ’র মতো ভোট পড়েছে বলে জানান প্রিজাইডিং অফিসার দিনেশ চন্দ্র বর্মণ।
এদিকে, ভোট গ্রহণ শুরুর পরেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আশরাফুল আলম লেবু ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের আহসান হাবীব খোকন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের খয়বর হোসেন সরকার মওলা নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা বেগম কাকুলি ও প্রীতিমা রাণি নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী খয়বর হোসেন সরকার দাবি করেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম রয়েছে। প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে অনেক ভোটার আসেননি। এ সুযোগে কিছু কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মীসমর্থকরা জাল ভোট দেন ও ভোট কারচুপির চেষ্টা করেন। এছাড়া ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক ও ভোটারদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।’
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মো. ছোলাইমান আলী জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ১১১ কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ চলছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও কেউ কোনও বিষয়ে অভিযোগ করেননি।