বাল্যবিয়ে দেওয়ার দায়ে বর-কনের বাবার কারাদণ্ড

 

বর ও কনের বাবানীলফামারীর সৈয়দপুরে বর ও কনের বাবাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এ দণ্ড দেন।

পরিমল কুমার সরকার জানান, ৬ মাস আগে সৈয়দপুর পৌরসভার সাহেবপাড়ার ওয়াজেদ আলীর ছেলে ইমরানের (২০) সঙ্গে একই এলাকার হাতিখানা উর্দুভাষী ক্যাম্পের ইরফানের মেয়ে সাবিয়ার (১৩) বিয়ে সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার সেনানিবাসের গ্যারিসন অডিটরিয়ামে এই দম্পতির বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন্নাহার শাহজাদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলমকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ছেলে ও মেয়ের বয়স প্রমাণের কাগজপত্র দেখতে চান তারা। কিন্তু উভয় পক্ষই তেমন কোনও প্রমাণ উপস্থিত করতে পারেননি। এ অবস্থায় বর কনেসহ সবাইকে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বর ও কনের বাবাকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে, বর ও কনেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কাজীকে কেন আইনের আওতায় আনা হলো না জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, ‘কাজী সহিদুল ইসলাম কাবিনের কোনও তথ্য প্রমাণ রাখেনি। তাই তাকে আইনের আওতায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি কনে পক্ষের কাজের কোনও কাগজপত্রে প্রমাণ রাখেননি।’

বাল্যবিয়ের বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার ও কাউন্সিলর সৈয়দ মঞ্জুর আলমকে ফোন করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।