ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলের পানি কমে আসলে দুপুর নাগাদ বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে।’
শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে নীলফামারী ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও পানি পরিমাপক মো. আমিনুর রশিদ বলেন, ‘বুধবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।’
ডিমলা উপজেলার ফরেস্টের চর, বাইশপুকুর, ছোটখাতা, ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর এলাকায় দেখা যায়, সেখানে বসতভিটায় এখনও হাঁটুর নিচে পানি জমে আছে। তবে উজানের ঢল কমে আসায় সেই বানের পানি ধীরে ধীরে কমেছে।
সরকারি পরিসংখ্যানে জানা যায়, জেলার ডিমলায় সাতটি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৬৩০ পরিবার ও জলঢাকায় চার ইউনিয়নে ৫১০ পরিবার মিলে মোট সাত হাজার ১৪০ পরিবারে, দুই উপজেলায় ৩০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ছাড়াও বাঁধ ভাঙনে ডিমলা উপজেলার ৮৬ পরিবার বসতঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। ওই এলাকায় শিক্ষা দফতরের দেওয়া তথ্যমতে, এখনও ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টি আর উজানের ঢল কমে আসায় বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে। আশা করি, সন্ধ্যা নাগাদ ওই পানি আরও কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে।’
নীলফামারীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শাহীনুর আলম বলেন, ‘বন্যা কবলিত মানুষের জন্য এ পর্যন্ত ১৭০ মেট্রিক টন চাল, দুই হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিতরণ করা হয় ৮৬ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার ৬৮০ প্যাকেট শুকনা খাবার।’