সামনে ঈদ, রেল কারখানায় চলছে বগি মেরামতের কাজ

বগি মেরামতের কাজ চলছেঈদুল আজহা উপলক্ষে পূর্ণ উদ্যোমে রেলওয়ের জরাজীর্ণ ও পুরনো বগি মেরামতের কাজ চলছে সৈয়দপুর রেল কারখানায়। এসব বগি দিয়ে পশ্চিম রেলে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনে বগির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক জয়দুল ইসলাম একথা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ৪০ বগির ৩০টি পাকশি ও ১০টি লালমনিরহাট ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে। এরই মধ্যে অর্ধেক বগি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলো ঈদ যাত্রার আগেই হস্তান্তর করা হবে।

রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুল মমিন বলেন,জনবল সংকট ও মালামালের অভাবে বগি মেরামতের সংখ্যা ৭৫ থেকে নামিয়ে ৪০ করা হয়েছে। অথচ গত বছর ঈদে ৭৫টি বগি মেরামত করা হয়েছিল।

সৈয়দপুর রেল কারখানায় রাখা বগিরেলওয়ে কারখানা সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরু থেকে রেল কারখানার পাঁচটি উপ-কারখানা (শপে) ক্যারেজ, বগি, জেনারেল ওভারহোলিং, ক্যারেজের হেভি রিপিয়ার ও পেইন্ট শপে চলছে বগি মেরামতের কাজ। পাশাপাশি কারখানার আরও ২৩টি উপ-কারখানায় বগির যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম তৈরির কাজ করছে। সব মিলিয়ে কারখানার ২৮টি উপ-কারখানার শ্রমিক, কারিগর ও প্রকৌশলীরা কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন।

ক্যারেজ হেভি রিপিয়ার শপের সিনিয়র সাব-অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে বগি সরবরাহের লক্ষ্য পূরণ করতে শ্রমিক-কারিগররা কাজ করছেন।’

বগি মেরামত করা হচ্ছেরেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপের ইনচার্জ প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, রেলওয়ে বহরে বগির সংখ্যা বৃদ্ধির করতে ট্রাফিক বিভাগের ডিপোয় রাখা অচল পুরনো বগি নতুন করে সচল করা হচ্ছে। এ কাজের জন্য মজুত মালামাল ও কারখানার মেশিনারি উপ-কারখানায় (শপ) তৈরি সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। জনবল সংকটের মধ্যেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে সকাল-বিকাল একটানা কাজ করছেন শ্রমিক-কারিগররা।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) জয়দুল ইসলাম জানান, ঈদ যাত্রায় অধিক সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করতে কারখানায় অতিরিক্ত বগি মেরামত করা হচ্ছে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সবক’টি বগি ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর সম্পন্ন হবে। বগিগুলো দিয়ে প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে বগির সংখ্যা বাড়ানো হবে।

সৈয়দপুর রেল কারখানাতিনি আরও জানান, আদালতে মামলা চলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতাদেশ থাকায় জনবল নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক বিভাগে ৩ হাজার ১৭১ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। কিন্তু আছে এক হাজার ২২১ জন।