ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবক’টি (৪৪টি) স্লুইসগেট খুলে রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা ১২টায় আরও কমে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার এবং বিকাল ৩টায় ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির এমন ওঠানামায় আতঙ্ক বিরাজ করছে তিস্তাবেষ্টিত চর ও চরগ্রামের বানভাসি মানুষের মাঝে।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, ‘তিস্তার পানি বাড়া-কমায় ভোগান্তি কমছে না তিস্তা পারের মানুষের। প্রথম দফার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির পর আবারও বিপদসীমা বরাবর পানি প্রবাহিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বন্যাকবলিতরা।’